বরিশালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের হটিয়ে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পাল্টা ধর্মঘট ডেকে বরিশাল থেকে সকল পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। বুধবার বিকেলে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা। বৃহস্পতিবার থেকে তারা সেখানে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ফলে এ সময় বরিশালসহ বিভাগের সঙ্গে ৬ জেলার দূরপাল্লা রুটের যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৬ জেলার পরিবহন রাজধানীসহ সারাদেশে যেতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অতিক্রম করতে হয়।
প্রতিদিনের মতো বুধবার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিানাল সংলগ্ন গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একই সময় আন্দোলনের সমাধান খুঁজতে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) সভাকক্ষে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সভা করছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনি সেখানে সভা করলেও কোনো সমাধান ছাড়াই সভা শেষ হয়। আন্দোলন নিবৃত্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে নির্দেশনা দেন মহাপরিচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নথুল্লাবাদে পরিবহন শ্রমিক ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা হয়।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘আন্দোলনকারী ছাত্ররা আগেও শ্রমিকদের গালি দিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করেছিল। পরে দুঃখ্য প্রকাশ করে সমঝোতা করে। বুধবার চালক মাহিমকে বেদম মেরেছে। এ প্রতিবাদে শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পুনরায় গাড়ি চলাচল শুরু করা নিয়ে আলোচনা চলছে।’