শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবি মেনে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকদের কাজে ফেরার চিত্র দেখা গেছে। তবে কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তারা শ্রমিকদের পরিচয়পত্র যাচাই করছে এবং সন্দেহ হলে তল্লাশিও চালাচ্ছে।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার সারাদিন বন্ধ ছিল উত্তরা ইপিজেডের ২৪টি কারখানা। পরিস্থিতি শান্ত করতে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বেপজা কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ শ্রমিক নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়।
পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার সাংবাদিকদের জানান, “নিঃসন্দেহে এটা একটি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, নিহত শ্রমিকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সব ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
আলোচনায় উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না এবং শ্রমিকেরা যাতে নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে, সে বিষয়েও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।