কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থানীয়দের বাধার মুখে সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় অভিযান শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও ৪ রাস্তার মোড়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। এমনকি বিমানবন্দর সড়কেও ঠেলাগাড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের কর্মী ও যানবাহন আটকা পড়ে। প্রধান সড়কসহ বিমানবন্দর সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে এক পর্যায়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে উচ্ছেদ অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএ জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বসতি ছাড়া করছে মানুষকে, যা তারা অবৈধ বলে দাবি করেন। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কক্সবাজার সদর আসনের সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজলও উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রাজনৈতিক নেতারা বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রম নিয়ে কক্সবাজারের মানুষ আতঙ্কিত ও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যও কেউ হয়তো পরিস্থিতি জটিল করছে কিনা, সেটি ভেবে দেখার সময় এসেছে।
অবশেষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে স্থানীয়রা হেনস্তাও করেন বলে জানা গেছে।