পরিকল্পিত দখল অভিযানের আগে গাজা সিটিতে বুধবার (১৩ আগম্ট) ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এটি গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দৈনিক প্রাণহানি। এদিকে গাজা নগরীর পথে রওয়ানা হয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক। ভয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা চাইলে গাজা ছাড়তে পারে। তার এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তবে আরব দেশসহ বহু বিশ্বনেতা এই ধারণাকে নতুন ‘নাকবা’ হিসেবে দেখছেন, যা ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার পূর্বাঞ্চলে জেইতুন ও শেজাইয়া এলাকায় বিমান ও ট্যাংক হামলায় বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আল-আহলি হাসপাতাল জানিয়েছে, জেইতুনে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ত্রাণ নিতে যাওয়া নয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্র।
গাজায় খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৫ জনে, যার মধ্যে ১০৬ জন শিশু।
গাজা নগরীর পথে ইসরায়েলি ট্যাংক, পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
এদিকে গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে গাজা নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন। বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় নগরী দখলে নিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর সামরিক বাহিনী নতুন এ অভিযান অনুমোদন করল।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আভিযানিক পরিকল্পনার মূল রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির।