জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে হাতে গণনা শুরু হয় এবং ফলাফল এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এর আগে সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮ হাজার ১৬ জন, যা মোট ভোটারের ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন হলে ভোটদান
- আল বেরুনী হলে ২১১ জনের মধ্যে ভোট পড়েছে ১২৫
- আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ জনের মধ্যে ২১৬
- মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জনের মধ্যে ৩১০
- নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ জনের মধ্যে ১৩৭
- শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ জনের মধ্যে ২২৪
- মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জনের মধ্যে ৩৮৪
- জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জনের মধ্যে ২৪৭
- প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ জনের মধ্যে ২৪৬
- বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ জনের মধ্যে ২৪৯
- ১০ নম্বর (ছাত্র) হলে ৫৪১ জনের মধ্যে ৩৮১
- শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬ জনের মধ্যে ৪৭০
- বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জনের মধ্যে ২৪৬
- ১৩ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৩২ জনের মধ্যে ২৭৯
- ১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৭১ জনের মধ্যে ৩৩৮
- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জনের মধ্যে ২৬১
- রোকেয়া হলে ৯৫৫ জনের মধ্যে ৬৮০
- ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৩ জনের মধ্যে ৪৮৯
- বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৪ জনের মধ্যে ৫৯৫
- ২১ নম্বর (ছাত্র) হলে ৭৩৫ জনের মধ্যে ৫৬৪
- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯১ জনের মধ্যে ৮১০
- শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জনের মধ্যে ৭৫২।
ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্বে ছিলেন ৬৭ জন শিক্ষক পোলিং অফিসার এবং সমসংখ্যক কর্মকর্তা সহকারী পোলিং অফিসার। তবে শুরুতেই কিছু জটিলতার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন— কোথাও ব্যালট পেপার পৌঁছাতে দেরি হয়, কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোট বন্ধ হয়ে যায়, আবার একটি কেন্দ্রে ছিল না আঙুলে ব্যবহারযোগ্য অমোচনীয় কালি।
এই নির্বাচনে ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৮ জন প্রার্থী। বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের সমর্থিত মোট ৮টি প্যানেল অংশ নেয়। তবে শেষ মুহূর্তে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সব প্রার্থীসহ আরও তিনটি প্যানেল ও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
এছাড়া পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছে চারটি প্যানেল— সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ফ্রন্টের একাংশ। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে সিনেট হলেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।