দুপরে বা রাতের খাবারের পর অনেকেরই চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কেউ খাবার খাওয়ার পর লাল চা পান করেন। আবার কেউ গ্রিন টি। কেউ কেউ আবার চিরাচরিত দুধ চা পান করে থাকেন। কিন্তু খাবারের পর চা পান স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পরে, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খাবারের পর চা পান করলে দেহে সেই খাবারের থেকে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদান শোষণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার ফলে অনেক সময় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে দুধ পান করলে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। চায়ের মধ্যে ট্যানিন এবং পলিফেনল থাকে, যা উদ্ভিজ্জ আয়রনের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে দেহে আয়রন ঠিক ভাবে শোষিত হয় না।
কাদের ক্ষেত্রে চা পান ক্ষতিকারক
যাঁদের দেহে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, তাঁদের বুঝে চা পান করা উচিত। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, কিশোর বা যাঁরা নিরামিষাশী, তাঁদের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন পরিস্থিতিতে দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
কোন চায়ের ক্ষেত্রে ক্ষতি বেশি
দেহে ভিটামিনের শোষণে চা কী রকমের প্রভাব বিস্তার করে, তা চায়ের ধরনের উপর নির্ভর করে। যেমন কালো চা এবং গ্রিন টি-এর মধ্যে ট্যানিনের মাত্রা বেশি থাকে। তাই তাদের ক্ষেত্রে আয়রন শোষণে বেশি বাধা সৃষ্টি হতে পারে। অন্য দিকে দুধ চায়ের মধ্যে আদা, দারচিনি এলাচ থাকলেও একই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। কারণ, এলাচ, দারচিনি বা আদা সার্বিক ভাবে খাবার হজমে সাহায্য করে।
কখন পান করা উচিত
দিনের অন্যান্য খাবারের তুলনায় দুপুর বা রাতের খাবার পরিমাণে বেশি হতে পারে। তাই সেখানে হজম গুরুত্বপূর্ণ। দুপুর বা রাতের খাবারের অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর চা পান করা উচিত।
ভেষজ চা
পুষ্টিবিদেরা জনিয়েছেন, ভেষজ চায়ের ক্ষেত্রে ট্যানিনের মাত্রা কম থাকে। তাই দুপুরের খাবারের পর এই ধরনের চা পানে ভিটামিন শোষনে কম বাধা তৈরি হয়।