নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেসার তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজ জয় দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।

আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। তাসকিন ৪ উইকেট এবং লিটন ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১৯ বলে অপরাজিত ৩৬ রানে অলরাউন্ড নৈপুন্যে দলের জয়ে অবদান রাখেন সাইফ হাসান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ৩ ওভারে ২৫ রান তুলে নেদারল্যান্ডসকে ভাল সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ ডাউড এবং বিক্রমজিত সিং।
চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এসেই প্রথম ডেলিভারিতেই নেদারল্যান্ডসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ। শর্ট কাভারে জাকের আলীকে ক্যাচ দেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২৩ রান করা ও’ডাউড।

তাসকিনের হাত ধরেই দ্বিতীয় উইকেট শিকারে আনন্দে মাতে বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দ্বিতীয়বারের মত বল করতে এসে আবারও প্রথম ডেলিভারিতে উইকেট তুলে নেন তাসকিন। ১১ বলে ৪ রান করা বিক্রমজিতকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি।

৩৮ রানে ২ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তেজা নিদামানুরু ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তৃতীয় উইকেটে ১৫ বলে ২৩ রানও যোগ করেন তারা। দশম ওভারে প্রথমবারের মত বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন অফ-স্পিনার সাইফ।

এডওয়ার্ডস ৭ বলে ১২ এবং নিদারামানু ২৬ বলে ২৬ রান করে সাইফের শিকার হন। এডওয়ার্ডসকে শিকার করে ৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেটের দেখা পান সাইফ।

সাইফের জোড়া আঘাতের পর নেদারল্যান্ডসকে চেপে ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন। ২৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট শিকার করেন তারা। শারিজ আহমাদকে ১৫ রানে মুস্তাফিজ এবং নোয়া ক্রোয়েসকে ১১ ও কাইল ক্লেইনকে ৯ রানে বিদায় দেন তাসকিন।

তাসকিনের ৪ উইকেট শিকারে ১৮তম ওভারে ১০৯ রানে ৭ ব্যাটারকে হারায় নেদারল্যান্ডস। অষ্টম উইকেটে টিম প্রিঙ্গেল ও আরিয়ান দত্তর ১৫ বলে ২৭ রানের জুটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় ডাচরা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে নেদারল্যান্ডস। প্রিঙ্গেল ১৬ ও আরিয়ান অপরাজিত ১৩ রান করেন।

তাসকিন ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া সাইফ ২টি ও মুস্তাফিজ ১ উইকেট শিকার করেন।

১৩৭ রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই ১৪ রান এনে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম তিন বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। দারুণ শুরুর পর তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরেন ইমন। ৯ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

দলীয় ২৬ রানে ইমন ফেরার পর বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক লিটন দাস। ৩৯ বলে ৬৬ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে লিটনের অবদান ছিল ২২ বলে ৪৪ রান।
দশম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৯২ রানে বিদায় নেন তানজিদ। ২টি চারে ২৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি।

১১তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ২৬ বল খেলা লিটন। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৩ হাফ-সেঞ্চুরিতে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড স্পর্শ করেন লিটন।

তৃতীয় উইকেটে সাইফকে ১৬ বলে ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৯ বল বাকী থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন লিটন। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন লিটন। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯ বলে অনবদ্য ৩৬ রান করেন সাইফ। ম্যাচ সেরা হন তাসকিন।

আগামী ১ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।

আপনার মন্তব্য

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Space for ad

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর

স্বত্ব © ২০২৫ চ্যানেল এইচ নিউজ

Design & Developed : Rose IT BD