ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি হতে পারে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার জার্সিতে ঘরের মাঠে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। প্রিয় তারকার এই সম্ভাব্য বিদায়কে ঘিরে আবেগে ভাসছে পুরো আর্জেন্টিনা ফুটবল। ব্যতিক্রম নন কোচ লিওনেল স্কালোনিও।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, “ঘরের মাঠে সম্ভবত শেষ প্রতিযোগিতামূলক খেলায় মেসি বিশেষ স্বাগত পাওয়ার যোগ্য। তবে আমি আশা করছি, অবসরের আগে ভক্তদের সঙ্গে বিদায় জানানোর আরও একটি সুযোগ পাবেন মেসি।”
৩৮ বছর বয়সী মেসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে গত সপ্তাহে বুয়েন্স আয়ার্সে এই ম্যাচ যে তার ঘরের মাঠে শেষ হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
২০২২ বিশ্বকাপজয়ী কোচ স্কালোনি মেসির সঙ্গে কাজ করাকে জীবনের বড় সম্মান বলে উল্লেখ করেন। আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, লিও বলেছেন এই ম্যাচটি বিশেষ হতে যাচ্ছে। কারণ এটাই ঘরের মাঠে আমাদের বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ। আমাদের অবশ্যই এটি উপভোগ করতে হবে। মেসিকে কোচিং করানো সত্যিই আনন্দের বিষয়। আশা করছি, স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্তরাও দারুণভাবে উপভোগ করবেন, কারণ এটি তাদের প্রাপ্য।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে আমি সত্যিই উত্তেজিত। আশা করি, আর্জেন্টিনায় এটি মেসির শেষ ম্যাচ হবে না।”
ইতোমধ্যে মেসি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপের পর তিনি জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে পারেন। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শুরু হবে ২০২৭ সালে। তখন ইন্টার মিয়ামির এই তারকার বয়স হবে ৪০ বছর।
মেসির পর আর কেউ কি তার উত্তরসূরি হতে পারবে? স্কালোনির উত্তর স্পষ্ট: “আর্জেন্টিনা বা বিশ্ব ফুটবলে মেসির উত্তরাধিকারী হবে—এমনটা সম্ভব না। হয়তো অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় আসবে, যারা নতুন যুগ তৈরি করবে। কিন্তু এতদিন ধরে মেসি যা করেছে, তা অতুলনীয়ই থেকে যাবে। ফুটবলে অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, কিন্তু আমি প্রায় নিশ্চিত, ওর মতো কাউকে আর দেখা যাবে না। মেসির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।”