চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মুবিন জানান, মীরেরহাট থেকে ১১ মাইল এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত এলাকায় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জশনে জুলুসে যাওয়া গাড়িবহরের এক যুবক হাটহাজারী বড় মসজিদ লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি জনতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
এরপর সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, ঢিল–ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সিনিয়র শিক্ষক আহমেদ দিদার কাসেমী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনেন।
তবে রাতেই হাটহাজারী কাচারি সড়ক ও মাদ্রাসার সামনে উভয় পক্ষ বিক্ষোভে নামে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় হাটহাজারী–খাগড়াছড়ি সড়ক।
ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই পক্ষের দাবি অনুযায়ী অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।