২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। তাতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, দেশের ইতিহাসে এটি এক মর্মান্তিক ঘটনা হলেও সুষ্ঠু ও স্বাধীন তদন্ত হয়নি। নতুন করে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের জন্য মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। চলতি বছরের ১৭ জুলাই থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট ও ২১ আগস্ট শুনানি গ্রহণ করে। আজ বৃহস্পতিবারও শুনানি চলার কথা রয়েছে।