ইসরাইলের নৃশংসতা থেকে মুক্তি মিলছে না অবরুদ্ধ গাজাবাসীর। শনিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ত্রাণপ্রার্থী।
নিহতের মধ্যে ৩৮ জন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। সংস্থাটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ নিতে যাওয়া লোকজনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছু এলাকায় যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ বাস্তবায়ন শুরু করবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা হামলা স্থগিত করার কথা বললেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন থেমে নেই।
মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কমপক্ষে এক হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৩ জন শিশুসহ আরও ১৬৯ জন ফিলিস্তিনি অনাহার বা অপুষ্টিতে মারা গেছেন।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং সমালোচনার পর ইসরায়েল সম্প্রতি জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, স্পেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশকে বিমান থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিয়েছে।
কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা আনরোয়াসহ বিভিন্ন মানবিক গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করেছে যে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা অপর্যাপ্ত এবং স্থলপথে অবাধে সহায়তা প্রবাহকে সহজ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।