দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে প্রশাসন গেরুয়া ফটকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ‘বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ’ লেখা ব্যানার টানায়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান, “এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে গেরুয়া ফটক দিয়ে বহিরাগত প্রবেশের সম্ভাবনা থাকায় সেখানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”
এ ছাড়া সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বুধবার ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দায়িত্ব পালন করবে।”
নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং সমান সংখ্যক সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা)। ভোট শেষে গণনা করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল—‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল
এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ১০ম জাকসু নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আয়োজিত এ ভোটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।